![]() |
| বুনো হাঁস লীলা মজুমদার |
বুনো হাঁস গল্পের পাঠ্যঃ
বুনো হাঁস
লীলা মজুমদার
এখন যদি আকাশের দিকে চেয়ে দ্যাখো, দেখতে পাবে দলে দলে বুনো হাঁস, তিরের ফলার আকারে, কেবলই উত্তর দিকে উড়ে চলেছে। কেউ এত উঁচুতে উড়ছে যে কোনো শব্দ নেই; কারো শুধু ডানার শোঁ শোঁ শোনা যাচ্ছে; আবার কেউ বা বলছে গাঁক গাঁক গাঁক। ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে এখন শীতের শেষে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছে। ওদের বেশি গরমও সয় না, আবার বেশি। শীতও সয় না।
কেউ কেউ হিমালয়ের উত্তর দিক থেকে, বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে। অনেকে নাকি ভারতের মাটি পার হয়ে, সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে ছোটো ছোটো দ্বীপে গিয়ে নামে। সেখানে মানুষের বাস নেই। নিরাপদে তাদের শীত কাটে। পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আমাদের শীতের সময় গরম, আবার আমাদের গরমের সময় শীত। লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল। তখন শীতের শুরু। মাথার ওপর দিয়ে দলে দলে বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত। বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত; চিঠিপত্র বিশেষ পৌঁছোত না। শুধু রেডিয়োতে যেটুকু খবর পেত।
🕊️ বুনো হাঁস — ছন্দে সারাংশ
আকাশ জুড়ে বুনো হাঁস,
উড়ে চলে উত্তরবাস,
শীত গেছে, এল রোদ,
ফিরবে তারা নীড়ের কোণ।
লাদাখেতে জওয়ানদল,
দেখে এক হাঁস পড়ল চল,
ডানা তারে চোট লেগে,
সঙ্গী এল ছুটে বেগে।
মানুষরা দিলো ঠাঁই,
খেতে দিলো, যতন পাই,
সঙ্গী হাঁসটি গেল না,
বন্ধুত্বে মেলে চাঁদনা।
শীত গেল, বরফ গলল,
সবুজ ডালে পাতা ফলল,
দু’জন উড়ে গেল শেষে—
ভালোবাসা রইল দেশে। 🌤️
বুনো হাঁস গল্পের লেখিকা পরিচিতিঃ
লীলা মজুমদার (১৯০৮-২০০৭) : জন্ম কলকাতায়, জ্যাঠামশাই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়িতে। বাবা প্রমদারঞ্জন রায় বিনের খবর' বইয়ের লেখক। শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে। ১৯২০ সাল থেকে কলকাতায়। সারাজীবন সাহিত্যচর্চাই তাঁর সঙ্গী ছিল। প্রথম ছোটোদের বই 'বদ্যিনাথের বড়ি। অন্যান্য বিখ্যাত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ—'পদিপিসির বর্মিবাক্স', 'হলদে পাখির পালক', 'টং লিং', 'মাকু'। ছোটোদের জন্য 'সন্দেশ' পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন বহুকাল। বহু পুরস্কারে সম্মানিত যার মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্র পুরস্কার', 'আনন্দ পুরস্কার', "ভারতীয় শিশু সাহিত্যের পুরস্কার'। তাঁর লেখা 'গল্পসল্প' বই থেকে 'বুনো হাঁস' গল্পটি নেওয়া হয়েছে।
বুনো হাঁস গল্পের শব্দার্থঃ
ফলা – তীক্ষ্ণ প্রান্ত। সয়না - সহ্য হয়না। হিমালয় পর্বতমালার নাম। দ্বীপ – চারদিকে জলবেষ্টিত স্থান। নিরাপদ – যেখানে আপদ বা বিপদ নেই এমন। নির্জন – যেখানে লোকজন নেই। তাঁবু – কাপড়ে তৈরি ছাওয়া অস্থায়ী বাসস্থান। জখম – আহত। বেচারি - নিরীহ অসহায় নিরুপায়।
উপরিউল্লেখিত অংশটি লীলা মজুমদারের "বুনো হাঁস" গল্পের পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ অংশ — একটি গভীর মানবিক অনুভূতির গল্প, যেখানে প্রকৃতি, প্রাণী, বন্ধুত্ব ও ত্যাগের মিশ্রণ দেখা যায়। নিচে আমি গল্পটির সংক্ষিপ্ত সারাংশ, মূল ভাব, চরিত্র বিশ্লেষণ ও শিক্ষণীয় দিক দিচ্ছি — যা ক্লাস ৫–৭ স্তরের বিশ্লেষণ বা প্রশ্নোত্তরে কাজে আসবে 👇
🕊️ গল্পের নাম: বুনো হাঁস
লেখিকা: লীলা মজুমদার
✍️ গল্পের সারাংশ (Summary):
শীতের শেষে আকাশে দেখা যায় বুনো হাঁসদের দল উত্তরমুখী হয়ে উড়ে যাচ্ছে। তারা শীত কাটিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে যায়। লাদাখের বরফে ঢাকা নির্জন স্থানে ভারতীয় জওয়ানদের একটি ঘাঁটি ছিল। একদিন তারা দেখে একটি বুনো হাঁস আহত হয়ে ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে, আর তার সঙ্গীটি তার চারদিকে উড়ছে। জওয়ানরা আহত হাঁসটিকে তাঁবুতে এনে যত্নে রাখে। তার সঙ্গী হাঁসটিও সেখানেই থেকে যায় — উড়ে যায় না। দু’জনেই শীতকাল জওয়ানদের সঙ্গে কাটায়। শীত শেষ হলে, বরফ গলে গেলে, একদিন তারা উড়ে চলে যায় উত্তর দিকে। পরে জওয়ানদেরও বাড়ি ফেরার সময় আসে।
🌿 মূল ভাব (Theme):
গল্পটির মূল ভাব হলো বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, সহানুভূতি ও বিশ্বস্ততা।
একটি হাঁস তার আহত সঙ্গীকে একা ফেলে যায় না, যেমন মানুষের মধ্যেও সহানুভূতি থাকা উচিত। প্রকৃত বন্ধুত্ব মানে কষ্টে পাশে থাকা — এই কথাই গল্পটি সহজভাবে বোঝায়।
👥 চরিত্র বিশ্লেষণ:
-
বুনো হাঁস (আহত):
সাহসী কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আহত। মানুষের সহানুভূতিতে বেঁচে ওঠে। -
অন্য বুনো হাঁস (সঙ্গী):
নিঃস্বার্থ, বিশ্বস্ত ও ভালোবাসাপূর্ণ। সঙ্গীকে ছেড়ে যায় না — তার ভালোবাসাই গল্পের প্রাণ। -
জওয়ানরা:
মানবিকতা ও দয়া দেখায়। প্রাণীর প্রতি তাদের সহানুভূতি লেখিকার বার্তাকে গভীর করে তোলে।
💡 শিক্ষণীয় দিক:
-
প্রকৃত ভালোবাসা কষ্টে প্রকাশ পায়।
-
আহত বা দুর্বলকে সাহায্য করা মানবধর্ম।
-
প্রাণীদের প্রতিও সহানুভূতি ও যত্নশীলতা থাকা উচিত।
-
বিশ্বস্ততা ও বন্ধুত্ব জীবনের অমূল্য গুণ।
বুনো হাঁস গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
হাতে কলমে
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো ঃ
১.১ আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ (ঘরবাড়ি/গাছ পালা/পোকামাকড় মেঘ-রোদ্দুর)।
উত্তর : আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ মেঘ-রোদ্দুর
১,২ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরো একটি পর্বতের নাম হলো, (কিলিমানজারো/আরাবল্লী/আন্দিজ রকি)।
উত্তর : হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরো একটি পর্বতের নাম হলো, আরাবল্লী।
১.৩ এক রকমের হাঁসের নাম হলো (সোনা / কুনো / কালি/ বালি হাঁস।
উত্তর : এক রকমের হাঁসের নাম হলো বালি।
১.৪ পাখির ডানার - (বোঁ বোঁ / শনশন/ শোঁ শোঁ/ গাঁক পাঁক) শব্দ শোনা যায়।
উত্তর : পাখির ডানার -শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
২. ক এর সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখোঃ
উত্তর :
|
“ক” |
“খ” |
|
বরফ |
হিমানী
|
|
বুনো |
বন্য |
|
কুঁড়ি |
কলি
|
|
চঞ্চল |
অধীর |
|
আরম্ভ |
শুরু |
উত্তর : সঙ্গ, বঙ্গ, রঙ্গ, অঙ্গ, অঙ্গন।
৪. ঘটনাক্রম সাজিয়ে লেখো:
৪.১. দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৪.২. হাঁসের ডানা জখম হল।
৪.৩ সারা শীত কেটে গেল।
8.8 বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
৪.৫. আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
উত্তর :
8.8 বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
৪.২. হাঁসের ডানা জখম হল।
৪.৫. আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
৪.৩ সারা শীত কেটে গেল।
৪.১. দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৫. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৫.১ লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল ।
৫.২ জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল ।
৫.৩ আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সারল ।
৫.৪ দলে দলে বুনো হাঁস তীরের ফলার আকারে, কেবলই উত্তর দিকে উড়ে চলেছে ।
৫.৫ ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল ।
৬. শব্দঝুড়ি থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
শব্দঝুড়িঃ বুনো, জখম, লাডাক, শীতকাল, বরফ, তাঁবু, গরম, ন্যাড়া, সঙ্গী, নির্জন, বেচারি, চঞ্চল
উত্তর :
বিশেষ্যপদ – লাডাক, শীতকাল, বরফ, তাঁবু, সঙ্গী ।
বিশেষণপদ – বুনো, জখম, গরম, ন্যাড়া, নির্জন, বেচারি, চঞ্চল ।
৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৭.১ বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত ।
উত্তর : বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।
৭.২ পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল ।
উত্তর : পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল ।
৭.৩ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে ।
উত্তর : দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে ।
৭.৪ সেখানে বুনো হাঁসরা রইল ।
উত্তর : সেখানে বুনো হাঁসরা রইল ।
৭.৫ নিরাপদে তাদের শীত কাটে ।
উত্তর : নিরাপদে তাদের শীত কাটে ।
৮. বাক্য বাড়াও :
৮.১ একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নেমে পড়ল । (কোথায় নেমে পড়ল ?)
উত্তর : একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নীচে এক ঝোপের উপর নেমে পড়ল ।
৮.২ ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে । (কোথায় এবং কখন ফিরে যাচ্ছে ?)
উত্তর : ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে শীতের শেষে আবার নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে ।
৮.৩ পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল । (কোথাকার পাহাড় ?)
উত্তর : লাডাক এর নীচের দিকের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল ।
৮.৪ আবার ঝোপঝাপ দেখা গেল । (কেমন ঝোপঝাপ ?)
উত্তর : আবার সবুজ রঙের ঝোপঝাপ দেখা গেল ।
৮.৫ গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল । (কেমন গাছে ?)
উত্তর : ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল ।
৯. বাক্য রচনা করো :
রেডিয়ো - আগেকার দিনে মানুষ রেডিয়ো তে খবর শুনত।
চিঠিপত্র - আগে পায়রা চিঠিপত্র বহন করত।
থরথর - বুড়ো লোকটি শীতে থরথর করে কাঁপছে।
জোয়ান - জোয়ান মানুষের শক্তি বেশি।
তাঁবু - যাযাবররা তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করে।
১০. তোমার বইতে যে বুনো হাঁসের ছবি দেওয়া আছে, সেটি দেখে আঁকো ও রং করো।
উত্তর :
![]() |
| বুনো হাঁস |
Buno Hash Question Answer
১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১১.১ জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল ?
উত্তর : লাডাকের এক বরফে ঢাকা নির্জন স্থানে জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল ।
১১.২ জোয়ানরা কী কাজ করে ?
উত্তর : জোয়ানরা দেশের নিরাপত্তার জন্য বাইরের শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করে ও দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সীমান্তে সর্বদা পাহারা দেয়।
১১.৩ দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন ?
উত্তর : একটা বুনো হাঁসের ডানা জখম হওয়ার জন্য সে নীচে নেমে পড়েছিল ও তার সঙ্গীটি ও তার পেছন পেছন নীচে নেমে এসে তার চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছিল । এভাবে দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল ।
১১.৪ বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে কী খেত ?
উত্তর : বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি ইত্যাদি জিনিস খেত ।
১১.৫ হাঁসেরা আবার কোথায়, কখন ফিরে গেল ?
উত্তর : হাঁসেরা আবার শীত শেষে নিজেদের দেশে ফিরে গেল ।
১১.৬ ‘এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল’ – কেমন করে সারা শীত কাটল ? এরপর কী ঘটনা ঘটল ?
উত্তর : সারা শীতকাল বুনো হাঁস দুটো জোয়ানদের তাঁবুতে থেকে গেল । জোয়ানদের দেখাশোনা ও যত্নে জখম বুনো হাঁসটির ডানা আস্তে আস্তে সেরে উঠল । তখন সে একটু একটু করে উড়তে চেষ্টা করত, আর তাঁবুর ছাদ অবধি উঠে আবার ধুপ করে পড়ে যেত । এইভাবে সারা শীত কেটে গেল। এরপর একদিন জোয়ানরা সকালের কাজ সেরে এসে দেখল যে বুনো হাঁস দুটো উড়ে চলে গেছে ।
১২. কোনো পশু বা পাখির প্রতি তোমার সহমর্মিতার একটা ছোট্ট ঘটনার কথা লেখো।
উত্তর : একবার শীতকালে একটি ছোট্ট কুকুর আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সে কেঁউ কেঁউ করে কাঁদছিল। আমি কাছে গিয়ে দেখলাম তার পায়ে ক্ষত এবং রক্ত পড়ছে। পাড়ার দুষ্টু বাচ্চারা তাকে ঢিল মেরেছে। আমি কুকুর ছানাটিকে কিছু খেতে দিলাম এবং ক্ষত জায়গাটি ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলাম। এইভাবে তাকে কিছুদিন সেবা শুশ্রূষা করলাম এবং সে সুস্থও হয়ে উঠল। এরপর থেকে সে আমার ভক্ত ও আমাদের বাড়িতেই রয়েছে।
১৩.১ লীলা মজুমদারের জন্ম কোন শহরে ?
উত্তর : লীলা মজুমদারের জন্ম কলকাতা শহরে ।
১৩.২ তাঁর শৈশব কোথায় কেটেছে ?
উত্তর : তাঁর শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে ।
১৩.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো ।
উত্তর : ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম হল ‘বদ্যিনাথের বড়ি’ ও ‘হলদে পাখির পালক’ ।
📚 গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (Q&A):
প্র.১. বুনো হাঁসরা কেন দক্ষিণে উড়ে যায়?
উত্তর: শীতের সময় উত্তর দিকের দেশগুলোতে ঠান্ডা বেশি পড়ে, তাই তারা উষ্ণ দেশগুলিতে শীত কাটাতে দক্ষিণে উড়ে যায়।
প্র.২. আহত হাঁসটির যত্ন কে নিয়েছিল?
উত্তর: লাদাখে অবস্থানরত ভারতীয় জওয়ানরা আহত হাঁসটির যত্ন নিয়েছিল।
প্র.৩. দ্বিতীয় হাঁসটি কেন উড়ে যায়নি?
উত্তর: সে তার আহত সঙ্গীকে একা ফেলে যেতে চায়নি, তাই থেকে গিয়েছিল।
প্র.৪. হাঁস দুটি কখন চলে গেল?
উত্তর: শীত শেষ হয়ে বরফ গলতে শুরু করলে ওরা উড়ে চলে গেল।
প্র.৫. গল্পটির মূল বার্তা কী?
উত্তর: সহানুভূতি, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার নিঃস্বার্থ সম্পর্কই জীবনের আসল সৌন্দর্য।
আজ এখানেই "বুনো হাঁস" গল্পের পাঠ্য ও অনুশীলনীর সমস্ত প্রশ্নোত্তর সমাপ্ত হলো। আগামীতে আমরা আরও নিত্যনতুন পাঠ্য ও প্রশ্নের ব্যাখা ও সমাধান নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণে তোমরা ভালো থেকো সুস্থ থেকো, ধন্যবাদ...


