বোম্বাগড়ের রাজা || সুকুমার রায় || পঞ্চম শ্রেণী || বাংলা || Bombagorer Raja Class 5 Bengali Question And Answer

বোম্বাগড়ের রাজা (Bombagorer Raja)
বোম্বাগড়ের রাজা (Bombagorer Raja)

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা আশা করি তোমরা সকলে ভালো আছো। আজ আমরা পঞ্চম শ্রেণীর বোম্বাগড়ের রাজা কবিতাটি এবং হাতেকলমে ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব। তবে দেরি না করে চলো আমরা পাঠটি শুরু করি। 

Bombagorer Raja Class 5 Bengali Question And Answer 


 বোম্বাগড়ের রাজা (Bombagorer Raja)

 সুকুমার রায়  


কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা-

ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত্ব ভাজা?

রানীর মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?

পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে কেন রানীর দাদা?

কেন সেথায় সর্দি হলে ডিগবাজি খায় লোকে?

জোছ‌্না রাতে সবাই কেন আলতা মাথায় চোখে?

ওস্তাদেরা লেপ মুড়ি দেয় কেন মাথায় ঘাড়ে?

টাকের পরে পন্ডিতেরা ডাকের টিকিট মারে।

রাত্রে কেন ট্যাঁক্‌ঘড়িটা ডুবিয়ে রাখে ঘিয়ে।

কেন রাজার বিছ্‌না পাতে শিরীষ কাগজ দিয়ে?

সভায় কেন চেঁচায় রাজা "হুক্কা হুয়া" বলে?

মন্ত্রী কেন কলসী বাজায় বসে রাজার কোলে?

সিংহাসনে ঝোলায় কেন ভাঙা বোতল শিশি?

কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন রাজার পিসী?

রাজার খুড়ো নাচেন কেন হুঁকোর মালা পরে?

এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পার মোরে?


📘 এক নজরে – ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতার সারাংশ

বিষয়বিবরণ
কবিতার নামবোম্বাগড়ের রাজা
কবিসুকুমার রায়
গ্রন্থআবোল তাবোল
কবিতার ধরণহাস্যরসাত্মক অর্থহীন কবিতা (Nonsense rhyme)
বিষয়বস্তুএক আজব রাজ্য “বোম্বাগড়”, যেখানে রাজা, রানী ও প্রজারা অদ্ভুত কাজ করে।
প্রধান চরিত্ররাজা, রানী, রানীর দাদা, মন্ত্রী, রাজার পিসি, রাজার খুড়ো ইত্যাদি
ঘটনা বা মজার দিক• রাজা ছবির ফ্রেমে আমসত্ত্ব ভাজা রাখে
• রানী মাথায় বালিশ বাঁধে
• পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে রানীর দাদা
• লোকেরা সর্দি হলে ডিগবাজি খায়
• মন্ত্রী রাজার কোলে বসে কলসী বাজায়
• রাজার পিসি কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলে
শৈলীপ্রশ্নরূপে লেখা, ছন্দোময়, কৌতুকপূর্ণ ও খেয়ালি ভাষা
রসের প্রকারঅর্থহীন রস (ননসেন্স রস), হাস্যরস, খেয়ালরস
মূল ভাবযুক্তিহীন কল্পনা ও হাস্যরসের মাধ্যমে আনন্দ সৃষ্টি; জীবনের প্রতিটি ব্যাপারে যুক্তি নয়, কখনো কখনো খেয়ালিপনাও আনন্দ দেয়।
বিশেষ শব্দহুক্কা হুয়া, ট্যাঁকঘড়ি, আমসত্ত্ব ভাজা — মজার ও অদ্ভুত শব্দ ব্যবহার
শেষ পঙ্‌ক্তির তাৎপর্য“এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পার মোরে”— এসব অযৌক্তিক ঘটনা রহস্যময় ও হাস্যকর, যার কোনো উত্তর নেই।
কবিতার বার্তাহাস্যরস ও কল্পনাশক্তিই মানুষের মনের ক্লান্তি দূর করে। যুক্তিহীন খেয়ালও আনন্দ দিতে পারে।

🌟 কবিতার সারসংক্ষেপ

কবি প্রশ্ন তুলেছেন —
বোম্বাগড়ের রাজা কেন আমসত্ত্ব ভাজা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে,
রানী কেন মাথায় সারাক্ষণ বালিশ বাঁধে,
রানীর দাদা কেন পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে,
লোকজন কেন সর্দি হলে ডিগবাজি খায়,
রাতের বেলা ট্যাঁকঘড়ি কেন ঘিয়ে ডোবানো হয়—
এমন একের পর এক অদ্ভুত, যুক্তিহীন ঘটনার প্রশ্ন।

শেষে কবি বলেন—
এমন সব আজব কাণ্ড কেন ঘটছে,
সেটা কেউই বলতে পারে না!


😂 রস ও ব্যঙ্গ

  • কবিতাটি মূলত অর্থহীন রস (nonsense humour)-এর এক নিদর্শন।

  • প্রতিটি লাইনেই অদ্ভুত কল্পনাবৈপরীত্যের মজা আছে —
    যেমন, রানীর দাদা পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে, বা রাজার খুড়ো হুঁকোর মালা পরে নাচে।

  • এসব কাজের কোনও যৌক্তিক কারণ নেই, অথচ সেগুলোর অযৌক্তিকতাই হাসির জন্ম দেয়।


🎭 শৈলীর বৈশিষ্ট্য

  • ছন্দোবদ্ধ ও সুরেলা ভাষা।

  • প্রশ্নরূপে পুরো কবিতা গঠিত, যা শিশুর কৌতূহল ও খেয়ালিপনা প্রকাশ করে।

  • শব্দচয়ন ও চিত্রকল্পে অসাধারণ মজা ও ছন্দ রয়েছে।

  • “হুক্কা হুয়া”, “ট্যাঁকঘড়ি”, “আমসত্ত্ব ভাজা” — এ ধরনের শব্দ কবিতাটিকে জীবন্ত ও হাস্যকর করেছে।


🧠 মূল ভাব

পৃথিবীর সব কিছুতেই যুক্তি খোঁজা যায় না। খেয়াল, কল্পনা ও হাসির মধ্যেও এক বিশেষ আনন্দ আছে।
সুকুমার রায় সেই যুক্তিহীন হাসির মধ্য দিয়েই পাঠককে আনন্দে ভরিয়ে দেন।

বোম্বাগড়ের রাজা কবিতার হাতে কলমে

শব্দার্থ : ফ্রেম- ছবি বাঁধাইয়ের কাঠামো। সদাই- সবসময়ই। অষ্টপ্রহর-সারা দিন রাত। ওস্তাদ- দক্ষ ব্যক্তি। ট্যাঁক ঘড়ি- কোমরের কাপড়ে গোঁজা ঘড়ি। খুড়ো- কাকা।


১. 'বোম্বাগড়ের রাজা' কবিতাটি পড়ে সেখানকার মানুষ ও নিয়মকানুন তোমার কেমন লাগল, তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ 'বোম্বাগড়ের রাজা' কবিতাটি পড়ে সেখানকার রাজা, সেখানকার মানুষ এবং নিয়মকানুন আমার খুব অদ্ভুত লেগেছে, সেইসঙ্গে খুব মজাও লেগেছে।

সেখানকার রাজা আমসত্ত্ব ভাজা ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে, রানি দিনরাত মাথায় বালিশ বেঁধে রাখেন, রানির দাদা পাউরুটিতে পেরেক ঠোকে, সর্দিতে সবাই ডিগবাজি খায়, পায়ের আলতা চোখে মাখে, তাও আবার জ্যোৎস্নারাতে।

এ ছাড়া পন্ডিতেরা টাকে ডাকের টিকিট মারে এবং রাজার কোলে বসে মন্ত্রী কলশি বাজায়, ভাঙা বোতল-শিশি সিংহাসনে ঝোলায়। রাজার খুড়ো হুঁকোর মালা পরে নাচেন। এসব পড়ে আমার খুব হাসিও পেয়েছে, কারণ এগুলি সবই আজব এবং মজাদার।

২. বোম্বাগড়ে যাওয়ার পরে, রাজার সঙ্গে যদি তোমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়, আর তোমাকেই নিয়মকানুন একটু-আধটু বদলে নিতে বলেন তিনি, কিংবা, বলেন জুড়ে দিতে নতুন কোনো নিয়ম, অথবা, একটি দিনের জন্য তোমাকেই করে দেন বোম্বাগড়ের রাজা, তবে তুমি কী কী করবে?

উত্তরঃ আমি বোম্বাগড়ের রাজা হলে রোজ সকালে গ্রামের রাস্তায় বাচ্চা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কিতকিত খেলব। কেউ মিথ্যা কথা বা খারাপ কথা বললে কিংবা কোনো অনুচিত কাজ করলে তাকে মালগাড়ির পিছনে ছুটতে বলব। গায়ক-শিল্পী-লেখকদের জন্য মোটামুটি তিনটি কাজ করব-পশুদের স্বরে গান গাইতে বলব, আকাশে ছবি আঁকতে বলব আর রামায়ণ-মহাভারতকে মিশিয়ে 'রামভারত কাব্য' লিখতে বলব।

৩. 'বোম্বাগড়ের রাজা' কবিতাটির সঙ্গে সুকুমার রায়ের লেখা 'একুশে আইন' কবিতাটির খুব ভাবগত মিল রয়েছে। শিক্ষকের থেকে কবিতাটি শোনো। ভালো লাগলে খাতায় লিখে নাও। এমন আরো কবিতা সংগ্রহ করো, যেখানে অদ্ভুত সব নিয়মের কথা রয়েছে।

উত্তরঃ

একুশে আইন

(সুকুমার রায় )

শিব ঠাকুরের আপন দেশে,
আইন কানুন সর্বনেশে !
কেউ যদি যায় পিছলে পড়ে
প্যায়দা এসে পাকড়ে ধরে,
কাজির কাছে হয় বিচার—
একুশ টাকা দণ্ড তার ।।

সেথায় সন্ধ্যে ছ’টার আগে,
হাঁচতে হ’লে টিকিট লাগে ;
হাঁচলে পরে বিটিকিটে—
দমদমাদম্ লাগায় পিঠে,
কোটাল এসে নস্যি ঝাড়ে—
একুশ দফা হাঁচিয়ে মারে ।।

বোম্বাগড়ের রাজা কবিতার কবি পরিচিতিঃ 

সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩): 'আবোল তাবোল', 'হযবরল', 'পাগলা দাশু' ইত্যাদি এর স্রষ্টা সুকুমার রায়। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। প্রত্যেক বাঙালির শৈশবে জড়িয়ে আছেন এই কবি ও সাহিত্যিক। চিত্রশিল্প, ফটোগ্রাফি, সরস ও কৌতুককর কাহিনি এবং ছড়া রচনায় সুকুমার রায় অতুলনীয়। তাঁর রচিত অন্যান্য রচনা - 'খাই খাই', 'অবাক জলপান', 'ঝালাপালা', 'লক্ষ্মণের শক্তিশেল', 'হিংসুটি' ইত্যাদি। স্বল্পদিনের জীবনে তিনি যা সৃষ্টি করে গেছেন তা থেকে বাঙালি জাতি চিরদিন অনাবিল আনন্দের স্বাদ পাবে। পাঠ্য 'বোম্বাগড়ের রাজা' কবিতাটি 'আবোল তাবোল' কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।


৪.১ সুকুমার রায়ের বাবার নাম কী?

উত্তরঃ   উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

৪.২ 'আবোল তাবোল' কবিতার বইটি কার লেখা?

উত্তরঃ   সুকুমার রায়ের 

৪.৩ তাঁর লেখা অন্য দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ   'হযবরল', 'পাগলা দাশু'


🪶 কবিতার নাম: বোম্বাগড়ের রাজা

🖋️ কবি: সুকুমার রায়


🧩 কবিতার সারাংশ (Summary):

এই কবিতায় কবি এক আজব রাজ্য “বোম্বাগড়”-এর কথা বলেছেন, যেখানে সবকিছুই উল্টো-পাল্টা ও অদ্ভুত।
রাজার, রানীর, মন্ত্রীর, পিসির — সবার আচরণই অস্বাভাবিক ও হাস্যকর।
রাজার রাজ্যে কোনও কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলে না —
রানী মাথায় বালিশ বাঁধেন, রাজা “হুক্কা হুয়া” বলে চেঁচান, মন্ত্রী কলসী বাজান,
আর পিসি কুমড়ো দিয়ে ক্রিকেট খেলেন!
এইসব আজব ঘটনার কোনো কারণ কেউ জানে না।
এই অযৌক্তিকতা ও মজাই কবিতার আসল রস।


🎭 কবিতার মূল ভাব (Theme):

মানুষের জীবনে কল্পনা, মজা ও হাস্যরসের প্রয়োজন রয়েছে।
সব কিছুর মধ্যে যুক্তি খোঁজার দরকার নেই —
যুক্তিহীন হাসিও এক বিশেষ আনন্দের উৎস।

সুকুমার রায় তাঁর অসামান্য খেয়ালিপনায় এমন এক জগত সৃষ্টি করেছেন,
যেখানে যুক্তির চেয়ে আনন্দ ও কল্পনাই মুখ্য।


💫 কবিতার বৈশিষ্ট্য (Features):

  1. অর্থহীন রস বা Nonsense rhyme – কবিতাটি যুক্তিহীন অথচ মজাদার।

  2. ছন্দ ও লয়ের ব্যবহার – কবিতার প্রতিটি পঙ্‌ক্তিতে সুর ও গতি আছে।

  3. অদ্ভুত চিত্রকল্প – যেমন, রানীর দাদা পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে!

  4. হাস্যরস ও ব্যঙ্গ – সমাজের নিয়মকানুনের প্রতি মজার ছলে ব্যঙ্গ আছে।

  5. প্রশ্নরূপে লেখা – পুরো কবিতাই প্রশ্নের ভঙ্গিতে লেখা, যা পাঠকের কৌতূহল বাড়ায়।


✍️ প্রশ্নোত্তর (Questions & Answers):

প্রশ্ন ১: “বোম্বাগড়ের রাজা” কবিতার কবি কে?
উত্তর: এই কবিতার কবি সুকুমার রায়।


প্রশ্ন ২: বোম্বাগড়ের রাজা কী করেন?
উত্তর: বোম্বাগড়ের রাজা ছবির ফ্রেমে আমসত্ত্ব ভাজা বাঁধিয়ে রাখেন, সভায় “হুক্কা হুয়া” বলে চেঁচান এবং শিরীষ কাগজ দিয়ে বিছানা পাতেন।


প্রশ্ন ৩: রানীর দাদা কী অদ্ভুত কাজ করেন?
উত্তর: রানীর দাদা পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকেন।


প্রশ্ন ৪: কবিতার লোকেরা সর্দি হলে কী করে?
উত্তর: তারা ডিগবাজি খায়।


প্রশ্ন ৫: কবি কেন একের পর এক প্রশ্ন তুলেছেন?
উত্তর: কবি প্রশ্নরূপে এই সব অদ্ভুত ঘটনা বর্ণনা করে মজার সৃষ্টি করেছেন।
এভাবে কবিতার রস ও কৌতূহল আরও বেড়ে গেছে।


প্রশ্ন ৬: “হুক্কা হুয়া” কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: এটি কোনো অর্থপূর্ণ শব্দ নয় —
কবি কেবল মজার ছলে এই অদ্ভুত ধ্বনিটি ব্যবহার করেছেন হাস্যরস সৃষ্টির জন্য।


প্রশ্ন ৭: কবিতার মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: পাঠকদের হাসি ও আনন্দ দেওয়া।
কবি দেখাতে চেয়েছেন যে যুক্তিহীন কল্পনাও আনন্দের উৎস হতে পারে।


প্রশ্ন ৮: এই কবিতার ধরণ কী?
উত্তর: এটি একটি হাস্যরসাত্মক অর্থহীন কবিতা (Nonsense rhyme)


প্রশ্ন ৯: “এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পার মোরে”— কবি এখানে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: বোম্বাগড়ে যা কিছু ঘটে তা সবই যুক্তির বাইরে।
তাই এর কোনো কারণ কেউই বলতে পারে না — এটাই কবিতার মজার দিক।


🌈 উপসংহার:

“বোম্বাগড়ের রাজা” কবিতায় সুকুমার রায় তাঁর অনবদ্য খেয়ালিপনা ও হাস্যরসের প্রতিভা দেখিয়েছেন।
এই কবিতাটি শুধু শিশুদের নয়, সব বয়সের পাঠকদের মনেও হাসির রোল তোলে।


এখানেই  বোম্বাগড়ের রাজা কবিতাটি ও তার সমস্ত প্রশ্নের সমাধান সম্পূর্ণ হল । আগামীতে আমরা আরো নিত্য নতুন পড়া ও তার সমাধান নিয়ে হাজির হব। ততক্ষণে সুস্থ থেকো, ভালো থেকো। ধন্যবাদ। 

Newton Hossain

Newton Hossain, the founder of this blog, is a Lecturer of the English Language and also loves to explain Life science and Geography.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post