![]() |
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি |
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছো। আজ আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের কাব্যাংশ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ থেকে সমস্ত ধরনের প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। যা তোমাদের পরীক্ষায় খুব সহযোগিতা করবে। তবে চলো বন্ধুরা আর দেরি না করে আলোচ্য পাঠে মনোনিবেশ করি...।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
১. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি কার লেখা,
উত্তরঃ কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী এর লেখা।
২. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি কোন্ কাব্যের অন্তর্গত?
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘অম্বিকামঙ্গল’ কাব্যের অন্তর্গত।
৩. মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গলকাব্যটি অন্য কী কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি ‘অভয়ামঙ্গল’,’চন্ডিকামঙ্গল’, ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
৪. মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমণ্ডল কাব্যটির ক-টি খণ্ড ও কী কী?
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুটি খণ্ড, যথা— আখেটিক খণ্ড এবং বণিক খন্ড |
৫.কোন কোণকে 'ঈশান কোণ' বলা হয়েছে?
উত্তরঃ 'ঈশান কোণ' বলতে উত্তর পূর্ব কোণকে নির্দেশ করা হয়।
৬. হরিৎ বলতে কোন রঙকে বোঝায়?
উত্তরঃ হরিৎ বলতে সবুজ রঙকে বোঝানো হয়।
৭. 'চিকুর' শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ চিকুর শব্দের অর্থ চুল, আলোচ্য কবিতায় 'চিকুর' কথাটি বিদ্যুৎ বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
৮. কয় মেঘ থেকে গজরাজ জল দেয়?
উত্তরঃ চারি মেঘ থেকে অষ্ট গজরাজ জল দেয়।
৯. "কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক" --সোঙরে শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃস্মরন করা।
১০.জৈমিনি কে?
উত্তরঃ জৈমিনি একজন প্রসিদ্ধ ঋষি । তিনি পূর্ব মীমাংসা দর্শনের রচয়িতা। তাঁর নাম স্মরন করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়।
১১. চারিদিক অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তরঃ আকাশ মেঘে ঢেকে যাওয়ার কারনে।
১২. মহি শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ পৃথিবী, বসুন্ধরা।
১৩. কলিঙ্গ দেশের লোক কাকে স্মরন করছিল?
উত্তরঃ জৈমিনি ঋষিকে।
১৪. কে চণ্ডীর আদেশ পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ বীর হনুমান।
১৫. "বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড় "--রড় শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ দৌড়ানো ।
১৬. আছুক শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ থাকুক।
১৭. কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী কোন সময়ের কবি?
উত্তরঃ ষোড়শ শতাব্দীর কবি।
১৮. চণ্ডী হনুমানকে কি আদেশ দেন?
উত্তরঃ মঠ- অট্টালিকা ভাঙ্গার আদেশ দেন।
১৯. কবিতায় শিল পড়াকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ শিল পড়াকে ভাদ্র মাসের তাল পড়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
২০. কারা ধুলায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে?
উত্তরঃ সবুজ প্রান্তর মাঠ গাছপালা।
২১.মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি কি ছিল ?
উত্তরঃ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি ছিল 'কবিকঙ্কণ'।
২২. 'দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।'- কারোর অঙ্গ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর 'কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। হঠাৎই কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে, তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।
২৩. প্রলয় গগিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।”–মন্তব্যটির অর্থ লেখাে।
অথবা, কলিঙ্গের প্রজাদের মন বিষাদগ্রস্ত কেন?
উত্তরঃ চারদিক মেঘে ঢাকা অবস্থায় মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘনঘন মেঘের ডাকে প্রজারা ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
২৪. "বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।”—“রড়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উধৃতাংশে উল্লিখিত ‘রড়’ শব্দের অর্থ ‘পালিয়ে যাওয়া।
২৫. সঘনে চিকুর পড়ে বেঙ্গ তড়কা বাজ। — তাৎপর্য লেখো।
উত্তরঃ
তাৎপর্য – কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে এক অকাল দুর্যোগের পত্তন দেখানো হয়েছে। এই দুর্যোগ পরিস্থিতির ছবি আঁকতে গিয়ে কবি আকাশে সঞ্চারিত ঘন কালো মেঘের বর্ণনা দিয়েছেন। একসময় সেই মেঘের বুকে ঘন ঘন ও তীব্র বিদ্যুতের ঝলকানি লক্ষিত হয়। যার ফলশ্রুতি বজ্রপতন। ব্যাঙের মতো অহরহ লাফিয়ে পড়তে থাকে সে বাজ।
২৬. জৈমিনি 'সোঙরে' শব্দটির অর্থ কি ?
উত্তরঃ কলিঙ্গবাসী আতঙ্কিত হয়ে ঋষি জৈমিনির নাম 'সোঙরে' বা স্মরণ করছেন। প্রসঙ্গত জৈমিনি একজন বিখ্যাত ঋষি। কথিত আছে যে ঝড় বৃষ্টির সময় জৈমিনির নাম স্মরণ করলে, ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব কমে যায়।
২৭.কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করেছেন কেন?
উত্তরঃ ভয়ংকর মেঘ ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতেরও হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।
২৮. "গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে। শব্দটির অর্থ কি?
উত্তরঃ প্রবল বৃষ্টির ফলে সাপেরা গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে জলে 'বুলে' বা ভ্রমণ করছে।
২৯. চণ্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান কি করেছিল?
উত্তরঃ কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য অংশে,দেবী চণ্ডীর আদেশ বীর হনুমান মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খান খান করেছিল।