 |
| কুতুব মিনারের কথা |
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা আশা করি সকলে ভালো আছো। আজ আমরা তোমাদের সামনে কুতুব মিনারের কথা পাঠটির সকল প্রশ্নের সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি। এই পাঠটি সপ্তম শ্রেণীর সাহিত্যমেলা (বাংলা) বইয়ের অন্তর্গত। তবে আর দেরি না করে চলো পাঠটি শুরু করি...।
কুতুব মিনারের কথা প্রশ্নোত্তর
Class 7 Bengali Kutub Minarer Kotha
Kutub Minarer Kotha Question Answer
WBBSE Kutub Minarer Kotha Prosno Uttor
হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর
১. অনধিক দুটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ কোন সম্রাট অশোক স্তম্ভ’ কে দিল্লি নিয়ে এসেছিলেন?
উত্তর: ফিরোজ তুঘলক ।
১.২ কুতুব মিনার নামটি কার নামানুসারে রাখা হয়েছে এবং কেন?
উত্তর: কুতুবুদ্দিন আইবকের নামে কুতুব মিনার নামকরণ করা হয়। কারণ তিনি এই মিনারটি তৈরি করার পরিকল্পনা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন।
১.৩ কুতুবের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য আর কে মিনার গড়তে চেষ্টা করেছিলেন?
উত্তর: আলাউদ্দিন খিলজি ।
১.৪ মিনারেট বা মিনারিকা কী? মিনারের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়?
উত্তর: মসজিদ, সমাধি কিংবা অন্য কোনো ইমারতের অঙ্গ হিসেবে যে মিনার কখনো থাকে, কখনো থাকে না, তার নাম মিনারেট বা মিনারিকা।
১.৫ আহমদাবাদ শহরটি কোন রাজার নামানুসারে হয়েছে? এই শহরটি কোন রাজ্যের রাজধানী?
উত্তর: রাজা আহমেদের নাম অনুসারে শহরটির নাম হয়েছে। আহমদাবাদ গুজরাতের রাজধানী।
২. নীচে যাদের নাম রয়েছে, তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও :
২.১ কানিংহাম:
উত্তর: কানিংহামের পুরো নাম আলেকজান্ডার কানিংহাম। তিনি ছিলেন একজন ঐতিহাসিক । ১৮৩৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরি নিয়ে তিনি ভারতে আসেন। ১৮৬৬ সালে তিনি অবসর নেন। তিনি নানা ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কুতুবমিনার নিয়ে ঐতিহাসিক ভাবনা।
২.২ ফার্গুসন:
উত্তর: ফার্গুসনের পুরো নাম জেমস ফার্গুসন। তিনিও একজন ঐতিহাসিক। ইতিহাসের নানা বিষয় নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।
২.৩ সৈয়দ আহমেদ:
উত্তর: সৈয়দ আহমেদ ছিলেন একজন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক। স্থাপত্যবিদ্যায় তাঁর জ্ঞান অগাধ। তিনি মুঘল স্থাপত্য বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়েছেন।
৩. কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
৩.১ কুতুব মিনার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মিনার'____ এই উদ্ধৃতিটির আলোকে মিনারটির পাঁচটি বিশিষ্টতা উল্লেখ করো।
উঃ কুতুব মিনারের পাঁচটি বিশিষ্টতা নিমরূপ-
- কুতুব মিনার পাঁচতলার একটি মিনার।
- কুতুব মিনারের প্রথম তলায় আছে 'বাঁশি' ও কোণের পর পর সাজানো নকশা।
- কুতুব মিনারের দ্বিতীয় তলা সাজানো আছে বাঁশি দিয়ে।
- কুতুব মিনারে বেশ কিছু ব্যালকনি আছে।
- কুতুব মিনারের গায়ে সারিবদ্ধ লতা-পাতা, ফুলের মালা এবং চক্রের নকশার যাবতীয় কারুকার্য আছে।
৩.২ মিনারটির গঠনে হিন্দু-মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারাটি কীভাবে ধরা পড়েছে তা লেখো।
উঃ কুতুব মিনারের গায়ে বাঁশি ও কোণের উপর দিয়ে সমস্ত মিনারটিকে কোমরবন্ধের মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতা-পাতা, ফুলের মালা, চক্রের নকশা। এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এক সারি অন্তর অন্তর আরবি লেখার সারি। এভাবে সমগ্র শিল্পকর্মে হিন্দু ও মুসলিম সাংস্কৃতিক মিলনের চেহারা ধরা পড়ে।
৩.৩ কুতুব মিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক আর কোন্ কোন্ স্থাপত্য কীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন?
উঃ কুতুব মিনারের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলতে গিয়ে লেখক তাজমহল, দিল্লির সেক্রেটারিয়েট, রাজভবন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রভৃতি স্থাপত্য কীর্তির প্রসঙ্গ এনেছেন।
৩.৪ আলাউদ্দিন খিলজি চেষ্টা করেও কুতুব মিনারের চেয়ে মহত্তর স্থাপত্য গড়তে পারেননি কেন?
উঃ আলাউদ্দিন কুতুবের দ্বিগুণ উচ্চতার মিনার গড়তে চেষ্টা করেন। কিন্তু ইমারত মাত্রেই অপটিমাম সাইজ- যার চেয়ে ইমারত বড়ো হলে খারাপ দেখায়, ছোটো হলেও খারাপ দেখায়। শেষ পর্যন্ত ইমারত গড়ে ওঠেনি। তার আগেই আলাউদ্দিন খিলজি মারা যান।
কুতুব মিনারের কথা গল্পটির আলোচনা পর্ব এখানেই শেষ হল। আগামীতে আমরা আরও নিত্য নতুন পাঠ ও তার সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হব । ততক্ষণে তোমরা ভালো থেকো সুস্থ থেকো, ধন্যবাদ।।