 |
Benefits of Gardening / বাগানের প্রয়োজনীয়তা |
বাগান তৈরি প্রকল্প
ভুমিকাঃ
বাগান কেন করব ?
এই পৃথিবীতে গাছই আমাদের একমাত্র পরম বন্ধু । যে নিঃস্বার্থে আমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয়তার জোগান দিচ্ছে। গাছের প্রয়োজন ও প্রয়োজনীয়তার কথা অল্পে বলে শেষ করা যাবে না।
আমাদের আজকের বিষয় বাগান কেন করব?
বাগান করা শুধুই সখের বিষয় নয়, এটা সবার জন্য আবশ্যিক কাজ হওয়া উচিৎ।গ্রামে লোকজন কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়িতে ফুল, ফল বা সব্জির বাগান গড়ে তোলে । হাজার বছর ধরে মানুষেরা কোন কারন ছাড়াই এমনটা করে এসেছে তা মনে করা বোধহয় ঠিক হবে না। কিন্তু শহুরে প্রজন্ম এই ধরনের কাজ থেকে একেবারেই দূরে সরে এসেছে অথবা কারো ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে তা হচ্ছে না। ফলে তারা প্রকৃতির প্রতি মমত্ব বোধ হারিয়ে ফেলছে। প্রকৃতির সান্নিদ্ধে যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় তা থেকে তারা বঞ্ছিত হচ্ছে ।
১) কর্মব্যস্ত দিনের শেষে বা সপ্তাহে একদিন যদি বাগান করা হয় তাহলে এক ধরনের মেন্টাল রিলিফ অনুভব করা যায়। যা মানসিক স্বাস্থের জন্য খুবই দরকারি।
২) শহরে বাসিন্দারা বেসিরভাগ সময় ঘরে বা অফিসের ভেতরে কাটায়। এতে করে মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্য হীনতায় ভুগে। নিয়ম করে নির্দিষ্ট কিছু সময় বাগান করে প্রকৃতির সান্নিধ্যলাভ করতে পারা যায়।
৩) হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা ইত্যাদি রোগ মহামারি আকারে বেড়ে গেছে। বাগান করার কারনে যে শারীরিক পরিশ্রম হবে তা এইসব রোগের হাত থেকে বাচতে সাহায্য করবে।
৪) একটি ফুলে-ফলে, গাছগাছালিতে পূর্ণ সাজান বাগান যেমন শূন্য হতে কোন কিছু গড়ে তোলার আনন্দ দিবে তেমনি সবার জন্য দৃষ্টি নন্দন একটা পরিবেশ তৈরি করবে।
৫) এটি পাখি, মৌমাছি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক পরাগায়নকারীদের আবাসস্থল তৈরি করে।
গৃহ পরিসরে কি কি বাগান করা যায়
গৃহ পরিসরে বা বাড়িতে বিশেষ করে বাড়ির সামনে বা প্রাঙ্গনে, বাড়ির পেছনে আমরা বাগান করতে পারি। যেখানে শাক সবজি, ফল্মুল ও ফুলের চাষ করতে পারি যা গৃহের শোভা বর্ধন করে ও শাক সব্জির চাহিদা পুরন করে। কিন্তু শহর অঞ্চলে জায়গার অসুবিধা হেতু মুলত বাড়ির ছাদে স্বল্প পরিসরে বাগান করার জন্য সবজির বাগান করা যেতে পারে। আমাদের দেহের প্রতিদিনই নির্দিষ্ট পরিমান ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে, যেগুলো আমরা ছাদ বাগান থেকে আলু, টমেটো, গাজর, লেবু, পেঁপে, লাউ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচামরিচ ইত্যাদি সল্প জায়গার মধ্যেই চাষ করে পরিবারের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারি।পাশপাশি, এই ধরনের সবজি চাষ করা যেমন সহজ, তেমনই বাজারেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। যার ফলে পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করার পর অবশিষ্ট সবজিগুলো বাজারে বিক্রি করে ভাল মুনাফাও আয় করা সম্ভব।
বিভিন্ন বাহারি মরসুমি ফুলও চাষ করা যেতে পারে।
বাগানের প্রয়োজনীয়তা
শখের বসে অনেকেই বাগান করেন। এই বাগানটা ঘরের শোভা বাড়ায়, তা থেকে ফুল-ফল পাওয়া যায়। কিন্তু তা ছাড়াও কিন্তু আপনার শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে বাগান, এমনকি ছোট কয়েকটি গাছ। বাগানে কাজ করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ওজন থাকে স্বাভাবিক আর মন-মেজাজটাও ভালো থাকে। মূলত পরিবেশের সান্নিধ্যে থাকার কারণেই স্ট্রেস কমে যায়। দেখে নিন কীভাবে আপনাকে সুস্থ রাখে বাগান করার কাজটি।
১) বাগানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানোতে মাঝারি মাত্রায় ব্যায়াম হয়। এক ঘণ্টা বাগানে কাজ করলে ৩৩০ ক্যালোরির মতো খরচ হয়। একই সময় হাঁটার চেয়ে বেশি ক্যালোরি খরচ হয় এভাবে।
২) বাগান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাগান করা, বাগানের পাতা পরিষ্কার করা—এসব কাজ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট করলে আদর্শ মাত্রায় ব্যায়াম হয়।
৩) আপনি বাগানে কাজ করলে শরীরে রোদ পড়ে বেশ কিছু সময়। ত্বকে রোদ পড়ার কারণে আপনার শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে। ভিটামিন ডি থাকার কারণে শরীর ক্যালসিয়াম শোষণ করে এবং হাড় শক্ত হয়।
৪) বাগানে ফলানো খাবার খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। শরীরের ঘাম ঝরিয়ে যদি বাগানে নিজের হাতে সবজির চাষ করেন, তাহলে সেই টাটকা, স্বাস্থ্যকর সবজি খেলে আপনার স্বাস্থ্যটা ভালো থাকবে।
৫) বাগান করার কাজে স্ট্রেস কমে, ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটির উপসর্গ কমে আসে। এমনকি যারা আঘাত, স্ট্রোক, অস্ত্রোপচার ও অন্যান্য সমস্যা থেকে সেরে উঠছেন, তাদের জন্য বাগান করার সুপারিশ করা হয়। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হতে পারে।
৬) যারা পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলেমিশে বাগানের কাজ করে, তাদের মেজাজ ভালো থাকে। সবার মাঝে ঐক্য ও সুসম্পর্ক বজায় থাকে। এমনকি বাগান করার সুবাদেই অনেকের মাঝে সম্পর্ক ভালো হয়ে ওঠে।
৭)গাছের পরিচর্যার কাজটি আপনার মানসিক সুখ বাড়াতে পারে, মেজাজ ভালো করে, আপনার মাঝে আশার সঞ্চার করে এবং ভবিষ্যতের আশা বাড়াতে পারে।
হুগলীর রিষড়া গাছের প্রয়োজনীয়তা
হুগলির রিষড়া ছিল পরাধিন ভারতের এক অন্যতম পাট শিল্প । তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাট চাষ করা হত। বর্তমানে এই স্থান বৃক্ষে সু-শোভিত। সম্প্রতি এখানে গড়ে উঠেছে গাছের ব্যবসার আড়ত, নার্সারি।
হুগলির রিষড়ার সেবা সদন হাসপাতালের এমনই অবস্থা ছবি ধরা পড়েছে। বন্ধ হাসপাতাল হয়ে উঠেছে গাছের ব্যবসার আড়ত। গোটা হাসপাতাল জুড়ে শুধুই নার্সারীর ব্যবসা। চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে বছর দশকেরও বেশি। একসময়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের ভরসার হাসপাতাল এখন ফুল গাছ কিনতে আসার জায়গা।
তাছাড়া গোটা শহরটায় যেন নার্সারির আধিক্য। মিলছে মরসুমি ফুল, ফল, শাক সবজি, বৃক্ষের জোগান। এটা কিন্তু গোটা দেশকে দিশার মুখ দেখাছে। পরিবেশ বান্ধব এই কর্ম সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
গাছের প্রয়োজনীয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আগেই আলোচিত হয়েছে। হুগলির রিষড়া কে দেখে আমাদেরও শিক্ষা নেওয়া উচিত।
বাগানের জন্য মাটি তৈরির পদ্ধতি
1. বাগান তৈরির জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট জমির মাটি কোদালের সাহায্যে কোপানো হয়। প্রায় 20-30 সেমি গভীর করে মাটি ওলট-পালট করা হয়।
2. তারপর মাটি থেকে আগাছা ও অপ্রয়োজনীয় অংশগুলি বেছে ফেলা হয় এবং মুগুরের সাহায্যে শক্ত ঢ্যালাগুলি
ভেঙে মিহি করা হয়।
3. এবার মাটিতে কম্পোস্ট সার, খইল, সুপার ফসফেট, মিউরিয়েট অব পটাশ এবং অলড্রিন পাউডার ছিটিয়ে আবার কোদাল দিয়ে মাটি ওলট-পালট করা হয়।
4. এরপর পাটা দিয়ে মাটির উপরিতল সমান করা হয়। পরে প্রায় 30 সেমি ব্যবধানে 15-20 সেমি গভীরতাবিশিষ্ট গর্ত খোঁড়া হয়। ওই গর্তে বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ, লাগানো যায়। মাটি উর্বরতা বাড়ানোর জন্য প্রতি বর্গমিটার জমিতে কম্পোস্ট সারের সঙ্গে 250 গ্রাম খইল, 100 গ্রাম সুপার ফসফেট, 50 গ্রাম মিউরিয়েট অব পটাশ এবং পরিমাণমতো অলড্রিন ব্যবহার করা হয়।
ঋতু অনুযায়ী গাছ নির্বাচন
বহুবর্ষজীবী ফুলগাছ = গোলাপ, টগর, গন্ধরাজ, বেল, জুঁই, স্বর্ণচাঁপা, কাঁঠালিচাঁপা, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি।
গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন ফুলগাছ = মোরগফুল, ক্লিওম, সূর্যমুখী, দোপাটি, জিনিয়া, সন্ধ্যামণি, কসমস, রজনিগন্ধা ইত্যাদি।
শীতকালীন ফুলগাছ = ডালিয়া, চন্দ্রমলিকা, গাঁদা, ক্যালেনডুলা, অ্যাস্টার, হলিহক, ডায়ান্থাস, ন্যাসটারসিয়াম, প্যানসি, পপি, ফ্লক্স, পিটুনিয়া, অ্যান্টিরিনাম, কারনেশন ইত্যাদি।
পাতাবাহার গাছ = ঝাউ, পান্থপাদপ, অরোকেরিয়া, অ্যানথুরিয়াম, অ্যাসপিডিস্ট্রা, ক্রোটন, কেয়া, ড্রাসিনা, বিগোনিয়া, মানিপ্ল্যান্ট, মুসান্ডা ইত্যাদি।
ভেষজ উদ্ভিদ = অপরাজিতা, কালমেঘ, কুলেখাড়া, কালকাসুন্দা, তুলসী, বাসক, ব্রাহ্মী, থানকুনি, কেশুত, সর্পগন্ধা ইত্যাদি।
গ্রীষ্মকালীন সবজি = উচ্ছে, চালকুমড়ো, শশা, ঝিঙে, লাউ, কুমড়ো, পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন ইত্যাদি।
শীতকালীন সবজি = বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, টম্যাটো, মটরশুঁটি, মুলো, পালং, বিট, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা ইত্যাদি।
বসন্তকালীন সবজি = নটে, কুমড়ো, পুঁই, লঙ্কা, বেগুন ইত্যাদি।
বারোমাসি শাকসবজি = পেঁপে , বেগুন, কাঁচকলা, লালশাক, কলমিশাক, কচুশাক ইত্যাদি।
চারা রোপণ / গাছ লাগানো
1. বীজতলায় চারা 15-20 দিন থাকার পর ওই চারাকে জমিতে অথবা টবে স্থানান্তরিত করা হয়। জমিতে চারা স্থানান্তরিত করার আগে, জমির মাটি ভালোভাবে তৈরি করে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছোটো ছোটো গর্ত করা হয়। টবের ক্ষেত্রেও আগে থেকে মাটি সংগ্রহ করে চারা রোপণের উপযোগী করতে হয়।
2. চারা লাগানোর আগের দিন জমির মাটি বা টবের মাটি হালকা জলে ভেজানো হয়। নির্দিষ্ট দিনে বিকেলবেলা চারা বসানো হয় এবং ঝাঁঝরিতে করে চারাগুলির ওপর জল দেওয়া হয়।
3. চারা লাগানোর সময় চারার গোড়াগুলি মাটি দিয়ে ভালোভাবে চেপে দিতে হয়। বীজতলা থেকে চারা তোলার
সময় চারার মূলগুলি যাতে ছিঁড়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হয়। ছোটো ছোটো নিড়ানি বা খুরপির সাহায্যে অতি সাবধানে বীজতলা থেকে চারা তোলা হয়।
4. চারা লাগানোর পর রোদ থেকে চারাকে বাঁচানোর জন্য কাগজ বা কলাপাতা দিয়ে চারা ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিন বিকেলে চারার ওপর থেকে কাগজ বা কলাপাতা সরিয়ে নিতে হয়।
5. তিন-চার দিন পর চারাগুলির মূল মাটি থেকে জল টানতে শুরু করলে রোদের মধ্যে চারাগুলিকে বেড়ে উঠতে দেওয়া হয়।
গাছের পরিচর্যা / গাছের যত্ন
নির্দিষ্ট সময় ও প্রয়োজন মতো চারা গাছে জলসেচ , জৈব সার ও রাসায়নিক সার এবং কীট পতঙ্গ ও পোকা দমনের জন্য কীটনাশকের প্রয়োগ করতে হবে।
গাছের গোঁড়ায় অবাঞ্ছিত ঘাস, আগাছা জন্মালে যত্ন সহকারে খুরপি দিয়ে তুলে ফেলতে হবে ও নিড়াতে হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গাছের পরিচর্যা-
ঘরোয়া গাছ বলতে সেই গাছ গুলোকেই বোঝায় যে গাছ সাধারণত কম আলোতেই বাঁচে অর্থাৎ- এই সকল গাছের জন্য সরাসরি সূর্যের আলোর খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না।
তবে নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত এক দিন সকালের মিষ্টি রোদে এসকল গাছ গুলোকে রাখতে হয়, এতে ঘরোয়া গাছ গুলো ভাল থাকে। এর মানে, কম হোক বা বেশি সব ধরণের গাছের জন্যই সূর্যের আলো অত্যাবশ্যকীয়।
ঘরোয়া গাছ বা ইনডোর প্ল্যান্ট মানেই টবের গাছ, আর টবের গাছ বলেই এর মাটির দিকে একটু খেয়াল রাখাটা খুব জরুরি। মাসে অন্তত একবার গাছের টবের মাটি পরিবর্তন করুন এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করুন। বাড়িতে বানানো কম্পোস্ট সারও ব্যবহার করতে পারেন, আবার বানিজ্যিক ভাবে যে সার পাওয়া যায় সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ইনডোর প্ল্যান্টের পুষ্টিমান বজায় থাকবে।
এইসকল গাছে খুব বেশি পানি দিতে হয় না। খেয়াল রাখবেন যেন পানি দিতে দিতে যেন টবের মাটি সবসময় স্যাঁতস্যাঁতে না হয়ে থাকে। মাটির রং যখন হালকা হয়ে যাবে তখনই পানি দিন, তবে টবের মাটি যেন খুব বেশি শুকনো না হয়।
ঘরের গাছকে খুব গরম বস্তুর নিকট, এসির কাছাকাছি স্থান, টিভির উপর ও পর্দার মাঝামাঝি জায়গায় না রাখলেই ভাল।
অনেক সময়ই গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়, এই পাতাগুলো হলুদ হয়ে পচে যায়। এইসব বিবর্ণ পাতা গাছে এবং গাছের টবের উপর যেন জমে না থাকে সেই দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি।
ঘরের গাছে বা গাছের পাতায় প্রতিদিনই অনেক ধুলাবালি জমে। এতে গাছের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং গাছের বিবিধ ক্ষতিও হয়। তাই অন্তত মাসে একবার নরম কাপড় বা তুলা ভিজিয়ে এই গাছের পাতাগুলো পরিষ্কার করুন। পাতা পরিষ্কার করার সময় অল্প নিমের তেল বা এন্টি-ইন্সেক্টিসাইড সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে পতঙ্গ জাতীয় কিছু পোকার উপদ্রব থেকে গাছগুলোকে রক্ষা করা যাবে।
আবার দুধের মধ্যে তুলা ভিজিয়ে পাতা মুছে দিলে পাতাগুলো চকচকে দেখাবে।
গাছে যেন ইনফেকশন না হয় তার জন্য গরম পানিতে নিম পাতা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে ঘরের গাছে ঢেলে দিন। এতে করে গাছ ভাল থাকবে, আর এই পদ্ধতিটি মাসে শুধু একবার করলেই হবে।
বাগান রক্ষনাবেক্ষন
বাগানে চারাগাছ লাগানো, নিয়মিত পরিচর্যার পাশাপাশি বাগান রক্ষনা বেক্ষন ও করতে হবে। বাগানের চারিদিকে বাঁশের বেড়া দিতে হবে । গরু, ছাগল, হাঁস , মুরগি যেন বাগানের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
উপসংহার
এই প্রকল্পটি রুপায়নের মাধ্যমে আমরা খুবই আনন্দলাভ করি । তাছাড়া ইহা মন ও শরীরকে ঠিক রাখে। একটি গাছ একটি প্রান এই স্লোগানটি তখনই সার্থক হবে যখন আমরা বারোমাস বাগান গড়ে তুলব। তাছাড়া আমরা এই প্রকল্পটি সম্পাদান করতে গিয়ে শ্রমের প্রতি পরিচিতি লাভ করলাম ও শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার প্রতি সচেষ্ট হলাম এবং কৃষির সাথে আমাদের পরিচয় ঘটল।